Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st এপ্রিল ২০১৬

সংস্কৃতিমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাত ‘সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ’


প্রকাশন তারিখ : 2016-04-20

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আজ বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত Alexander I. Ignatov এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এতে দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়সহ সার্বিক সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্‌তারী মমতাজ ও অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা আখতার মীনা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র। সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দু’দেশ একে অপরের সাথে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্ধুত্বের এ বন্ধন দিনে দিনে আরও দৃঢ় হচ্ছে।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বিদ্যমান সাংস্কৃতিক চুক্তির আওতায় দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান অব্যাহত আছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে রাশিয়ান সাংস্কৃতিক উৎসব হয়। ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে রাশিয়াতেও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব হয়। এমন সাংস্কৃতিক যোগাযোগ দু’দেশের জনগণকে পরস্পরের আরও কাছে এনেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে বৃত্তি প্রদান করে। কিন্তু পেইন্টিং, নাট্যকলা, সংগীতসহ সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খুব কম বৃত্তি প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে রাশিয়া পেইন্টিং ও নাট্যকলা বিষয়ে দু’টি বৃত্তি প্রদান করেছে। তিনি সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের রাশিয়ায় বেশি বেশি বৃত্তি প্রদান ও শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

এসময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় অব্যাহত আছে। এটি আরও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দু’দেশ তৎপর রয়েছে। সঙ্গীত, নাট্যকলা, পেইটিং প্রভৃতি বিষয়ে বৃত্তি প্রদানের ব্যাপারে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে তা তার সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে মর্মে তিনি সৌজন্য সাক্ষাতে মন্ত্রীকে আশ্বস্থ করেন।

মন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার সাহিত্য, সঙ্গীত, থিয়েটার তথা সংস্কৃতি খুবই উন্নত ও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বাংলাদেশেও আছে গর্ব করার মতো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। রাশিয়ার সাহিত্যকর্ম বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়। ফলে আমরা সে সর্ম্পকে জানতে পারি। বাংলা সাহিত্যও রাশিয়ার ভাষায় অনূদিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাংলা একাডেমি ও রাশিয়ার সরকারের এরকম কোন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এটি করা সম্ভব হলে দু’দেশের জনগণ পরস্পরের সাহিত্য সর্ম্পকে ব্যাপকভাবে জানতে পারবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যথাযথ প্রস্তাব পেলে তাঁর দেশ এ বিষয়ে অগ্রগামী হবে তিনি জানান।

রাশিয়ার জাতীয় আর্কাইভ সমৃদ্ধ ও উন্নত উল্লেখ করে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আমাদের জাতীয় আর্কাইভও বেশ সমৃদ্ধ। কিন্তু পর্যাপ্ত দক্ষ লোকবল. আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বল্পতা, রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে অপ্রতুল জ্ঞান ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা থাকায় তা আশানুরূপভাবে ফলদায়ক নয়। এ সর্ম্পকে প্রশিক্ষণ প্রদান ও রাশিয়ার জাতীয় আর্কাইভ পরির্দশনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন আমাদের জাতীয় আর্কাইভ ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করতে পারে বলে মন্তব্য করে তিনি এ বিষয়ে রাশিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এছাড়া তিনি দু’দেশের আর্কাইভের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন, প্রত্নসম্পদের সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও রেস্টোরেশনের কাজে রাশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।

সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বাংলাদেশের যেকোন সুনির্দিষ্ট ও যথাযথ প্রস্তাব রাশিয়া গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে বলে সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে জানান।

তিনি বাংলাদেশে রাশিয়ার চলচ্চিত্র ও ফটো প্রর্দশনীর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।